রবিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২২, ০২:৫৪ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ আজ রোববার (২৬ জুন) সকাল ৬টা থেকে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় পদ্মা বহুমুখী সেতু। যার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটল স্বপ্নের এই সেতুতে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষের কষ্টের অধ্যায়ের। সেই সঙ্গে দেশের পুরো সড়কপথ একই সূত্রে গাঁথা পড়ল।
পুরোনো দিনগুলোতে ফেলে আসা শীত-বর্ষা-গ্রীষ্ম এমনকি রোদ-বৃষ্টির সঙ্গে প্রমত্তা পদ্মার সঙ্গে এক বিপদসংকুল ও অনিরাপদ অবস্থারও অবসান ঘটল। প্রলয়ঙ্কারী পদ্মার ভয়াবহতা থেকে হয়তো বেঁচে গেল হাজারো তাজা প্রাণ।
শুধু প্রাণ বেঁচে যায় নি, বেঁচে গেল সময়ও। এখন থেকে রাজধানীর সঙ্গে দ্রুত হবে যোগাযোগ রক্ষা করতে পারবে দক্ষিণের ২১ জেলার মানুষ। এই সেতু চালু হওয়ায় ৫৫ কিলোমিটারের এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে যাত্রাবাড়ীর হানিফ ফ্লাইওভারসংলগ্ন গোলচত্বর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা মোড় যেতে সময় লাগবে মাত্র ৪০-৪৫ মিনিট।
এ সেতু দেশের যোগাযোগে যেমন প্রভাব ফেলবে তেমনি অর্থনীতিতেও একটি বড় প্রভাব রাখবে। ধারণা করা হচ্ছে এর ফলে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হার ১ দশমিক ২৩ শতাংশ বাড়বে।
পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে সার্বিকভাবে দেশের উৎপাদন ১.২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতি বছর ০.৮৪ শতাংশ হারে দারিদ্র্য নিরসনের মাধ্যমে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এ সেতু অনন্য অবদান রাখবে। যার মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার অর্থনীতিতেও এক নতুন প্রাণের সঞ্চার হবে।
প্রসঙ্গত, উপহাস আর দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে বাঙালি জাতির স্বপ্ন এখন বাস্তবে পরিণত হয়েছে। বিদেশি সহযোগিতা দুর্নীতির দোহাইে মুখ ফিরিয়ে নিলে দেশের নিজস্ব অর্থায়নে ২১ জেলার মানুষের স্বপ্ন পূরণে এগিয়ে আসে শেখ হাসিনার সরকার। বিশ্বের দ্বিতীয় খরস্রোতা নদীতে ২০১৪ সালে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা নিজস্ব অর্থায়নে এই সেতুর কাজ শুরু হয়। দীর্ঘ সাত বছর পরে বুধবার (২২ জুন) সেতুর নির্মাণকাজ শতভাগ শেষ করে তা সেতু বিভাগকে বুঝিয়ে দিয়েছে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। যার মাধ্যমে দেশের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবে দৃশ্যমান হয়।
গতকাল শনিবার (২৫ জুন) মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ১২টায় জমকালো এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ৬.১৫ কিলোমিটারের এ সেতু উদ্বোধন করেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা৷
এজেড এন বিডি ২৪/ রেজা
Leave a Reply