অনলাইন ডেস্কঃ  কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চুরির সময় দেখে ফেলায় বাড়িওয়ালাকে গলাকেটে হত্যার দায়ে স্বামী-স্ত্রীর যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (১৪ জুন) দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মিরপুর উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত মুন্তাজ মন্ডলের ছেলে সাহাবুল ইসলাম ও তার স্ত্রী মারিয়া আহম্মেদ। আদালতে রায় ঘোষণার সময় সাহাবুল উপস্থিত থাকলেও তার স্ত্রী মারিয়া খাতুন পলাতক রয়েছেন।

আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, সামান্য বেতনে সংসার না চলায় ২০২০ সালের ২৫ জানুয়ারি সাহাবুল ও তার স্ত্রী মারিয়া বাড়িওয়ালা জালাল উদ্দিনের (৯০) বাসায় চুরির পরিকল্পনা করেন। জালালের স্ত্রী রিনা খাতুন বাড়ির বাইরে গেলে তারা মেইনগেট দিয়ে বাসায় ঢুকে মালামাল চুরি করেন। বিষয়টি জালাল টের পেয়ে চিৎকার শুরু করলে সাহাবুল ও মারিয়া তাকে কৌশলে মাটিতে ফেলে দেন। মুখ হাত পা চেপে ধরে ধারালো বটি দিয়ে জালাল উদ্দিনকে জবাই করে হত্যা করেন তারা।

এ বিষয়ে ওইদিন বিকেলে নিহতের স্ত্রী রিনা খাতুন কুষ্টিয়া মডেল থানায় অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা করেন। স্বামী-স্ত্রী দুজন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হন এবং আদালতে হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আননুর যায়েদ তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ৩১ জানুয়ারি আসামিদের শনাক্ত করে মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। আদালত এ মামলায় ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে এ রায় ঘোষণা করেন।

এজেড এন বিডি ২৪/ রেজা