সালাউদ্দিন ধলিয়া ইউনিয়নের মাছিমপুর গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত স্কুলশিক্ষক মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে। তিনি সীতাকুণ্ড ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে সালাউদ্দিন ছিলেন ষষ্ঠ।
সালাউদ্দিন সবুজের চাচাতো ভাই শেখ মো. সানাউল্যা নূরী বলেন, সালাউদ্দিন সবুজ পড়াশোনা শেষে প্রায় ১০ বছর আগে ফায়ার সার্ভিসে যোগ দেন। সালাউদ্দিনের আরেক ভাই ও দুই ভগ্নিপতিও ফায়ার সার্ভিসে চাকরি করেন। প্রায় ছয় বছর আগে সালাউদ্দিন বিয়ে করেন। তাঁর সাড়ে চার বছরের এক মেয়ে ও দেড় বছর বয়সী এক ছেলে রয়েছে। সালাউদ্দিনের স্ত্রী, ছেলেমেয়ে ও বৃদ্ধ মা-বাবা গ্রামের বাড়িতে থাকেন। গতকাল সালাউদ্দিনের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ওই বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে আসে। মৃত্যুর খবর পেয়ে বাড়ির লোকজন ছুটে যান চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
পরে গতকাল দুপুরে নিহত ব্যক্তির ডিএনএ পরীক্ষার পর সালাউদ্দিনের লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে ফায়ার সার্ভিসের অফিসের সামনে সালাউদ্দিনের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ফেনীর মাছিমপুরে গ্রামের বাড়িতে নেওয়ার পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়।
সালাউদ্দিনের ভাই সানাউল্যা নূরী বলেন, সালাউদ্দিনের এমন মৃত্যু পরিবারের কেউ মানতে পারছেন না। গত সপ্তাহেই সালাউদ্দিন গ্রামে এসেছিলেন। বাড়িতে এসে নিজের ও ছেলেমেয়েদের জন্মনিবন্ধনের সংশোধন করতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) কার্যালয়ে যান। পরে ওই কাজ শেষে স্ত্রী ও ছেলেমেয়েদের নিয়ে সালাউদ্দিন শ্বশুরবাড়িতে যান। পরে তাঁদেরকে শ্বশুরবাড়িতে রেখেই আবার সীতাকুণ্ডের কর্মস্থলে ফিরে গিয়েছিলেন।
ফেনী সদর উপজেলার ধলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার আহম্মদ বলেন, সবুজ গত সপ্তাহে ইউনিয়ন পরিষদের কার্যালয়ে একটা কাজে এসেছিলেন। তাঁদের পরিবারের সবাই চাকরিজীবী। সবাই ভালো মানুষ হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
এজেড এন বিডি ২৪/ রেজা
Leave a Reply