সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন
ফেসবুক কর্নার ডেস্কঃ হৃৎপিণ্ডে সমস্যা ধরা পড়ায় রাজধানীর ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশনে ভর্তি হন ঢাকাই সিনেমার খল অভিনেতা কমল পাটেকর। এ সময় নায়িকা নিপুণ ছাড়া সহকর্মীদের কেউই তার খোঁজ নেননি বলে গণমাধ্যমকে জানান কমল। কমলের আক্ষেপে সুর মিলিয়েছেন এক সময়ের জনপ্রিয় নায়িকা নূতন। পাশাপাশি ‘লাশ কাঁধে’ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে খোঁচা দিয়েছেন তিনি।
গত বুধবার (১ জুন) ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে কমলের উদ্দেশে নূতন লিখেছেন, ‘চলচ্চিত্র খোঁজ নেওয়ার জায়গা না। এখানে তুমি যতদিন দিতে পারবা, ততোদিন তুমি সবার খোঁজ নেওয়ার মধ্যে থাকবা। সবাই তোমার জন্য কান্নাকাটি করবে। শিডিউল থাকলে তোমার ঘরের কাজের লোকের খবরও নিবে। আর তুমি দিতে না পারলে, তোমার খবর তোমাকেই নিতে হবে। তোমার চেয়ে অনেক বড় বড় স্টারদের খোঁজ নেওয়া হয় নাই। তোমাকে নিয়ে পেপারে খবর ছাপিয়েছে, এটাই বেশি। যদিও তুমি অভিনেতা হিসেবে অনেক ভালো এবং সিনিয়র অভিনেতা।
তিনি আরও লিখেন, তুমি (কমল) মারা গেলে কেউ কেউ যাবে লাশ কাঁধে নিয়ে কান্নাকাটি আর সেলফি তুলতে, সঙ্গে ফ্রি ফ্রি বক্তব্য দেওয়ার জন্য। তাতে যদি একটু ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে থাকার স্বাধ মিটে আর কী? একটা শুটিং শুটিং ভাব! আহারে কত আপন ছিলো, মারা যাওয়ার আগেও ফোন দিছে, আহারে…সে নাই, চলচ্চিত্র নাই। একজন গুণী অভিনেতা হারালাম- এসব বলবে। ভাগ্য বেশি ভালো হলে লাশ দাফন করেও দিতে পারে, যদি সেখানে চ্যানেলের ক্যামেরা থাকে।যারা এই অভিনয় করবে, তারা মারা গেলেও এই অভিনয় হবে। যদিও সামনে ভোট থাকলে তোমার একটা কদর থাকতো, সেলফি তোলার জন্য।
পোস্টটিতে কারও নাম উল্লেখ না করলেও নূতন যে মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানকে খোঁচা দিয়েছেন সেটি স্পষ্ট। কেননা করোনাকালে অভিনেত্রী কবরী, অভিনেতা সাদেক বাচ্চুসহ বেশ কিছু তারকার লাশের খাটিয়া কাঁধে নিয়ে দাফন সম্পন্ন করেন সে সময়ের শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান।
একই পোস্টে প্রয়াত চিত্রনায়ক মান্নার স্মৃতিচারণ করে নূতন জানিয়েছেন, অনেক আগে মান্না বলেছিলো, চলচ্চিত্র একটা স্বার্থপর জায়গা। আমি বলেছিলাম- না, চলচ্চিত্র হচ্ছে দেনা-পাওনার জায়গা। যে দিবে সে থাকবে, যে দিবে না সে থাকবে না। সবশেষে তিনি বলেন, কেউ মারা গেলে আমি যাই না। আমি আবার সবসময় সব অভিনয় পারি না, আর শিখিওনি। আমি ভাবি, আমার শিল্পীরা বেঁচে আছে, বেঁচে থাকবে।
নূতন আগেই জানিয়েছেন- তিনি চান না, মৃত্যুর পর তার লাশ এফডিসিতে আনা হোক। আর কেউ যেন তার জন্য মায়া কান্না না কাঁদেন। তিনি চান, মৃত্যুর পর সবাই যাতে তার স্মৃতি মনে রাখেন।
(নূতনের ফেসবুক স্ট্যাটাস)
এজেড এন বিডি ২৪/ রেজা
Leave a Reply