সোমবার, ০৮ অগাস্ট ২০২২, ১১:১০ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ ফরিদপুরের আলোচিত রোদেলা হত্যাকাণ্ডের পাঁচ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু এখনও রোদেলা হত্যা মামলার প্রধান আসামি ঘাতক সোহানুর রহমান গ্রেফতার হননি। হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন রোদেলার বাবা-মা ও স্বজনরা।
বর্তমানে মামলাটি ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে বিচারাধীন। আগামী ৩ মার্চ এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। বিয়ের পর হাতের মেহেদি শুকানোর আগেই মাত্র দেড় মাস না যেতেই স্বামীর বাড়িতে নির্মমভাবে খুন হন কলেজছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা (১৮)।
রোদেলার পরিবার জানায়, ফরিদপুরের সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজে ইংরেজিতে অনার্সের মেধাবী ছাত্রী সাজিয়া আফরিন রোদেলা শহরের আলিপুর খাঁ-বাড়ি মহল্লার শওকত হোসেন খান শকার মেয়ে। ২০১৭ সালের ১৩ জানুয়ারি গোয়ালচামটের নতুন বাজারের মমিনুর রহমান সেন্টুর ছেলে সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের পর ১০ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য রোদেলাকে চাপ দিতে থাকেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। এজন্য তাকে নানাভাবে মানসিক নির্যাতন করা হতো। একপর্যায়ে রাতের বেলা স্বামী, শাশুড়ি ও ননদ মিলে পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে রোদেলাকে হত্যা করেন।
এ ঘটনায় রোদেলার স্বামী সোহানুর রহমান সোহানকে প্রধান আসামি করে কোতোয়ালি থানায় মামলা করা হয়। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, রোদেলার ননদ সুমি বেগম (৩৯), শাশুড়ি আনোয়ারা বেগম (৫৬), ভাসুর মো. সুমন (৩৭), ভাসুরের স্ত্রী রেখা বেগম (২৬), শ্বশুর মোমিনুর রহমান সেন্টু (৬৪), ননদের স্বামী মো. হাফিজ (৪৪) ও সোহানের মামাতো ভাই সাজিদ (৪১)।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। মামলা নং- ৪১৭/১৭। মামলার পলাতক প্রধান আসামি সোহানুর রহমানকে গ্রেফতারে আদালত থেকে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে তাকে গ্রেফতার করা যায়নি।
এ ব্যাপারে রোদেলার মা রুমা খান বলেন, গত দুই বছর যাবত আমরা বিচারের আশায় আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। এখনো রোদেলার স্বামী গ্রেফতার হয়নি। মামলাটিকে দীর্ঘায়িত করতে নানাভাবে অপচেষ্টা করছে প্রভাবশালী আসামিরা। তিনি রোদেলা হত্যা মামলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
রোদেলার বাবা শওকত হোসেন খান বলেন, হত্যা মামলায় ১৭ জন সাক্ষী রয়েছেন। পুলিশ এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করেছে। আশা করছি আসামিদের গ্রেফতার ও মেয়ের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার পাবো।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গাফফার বলেন, রোদেলার মৃতদেহের ভিসেরা রিপোর্টে শ্বাসরোধ করে হত্যার আলামত পাওয়া গেছে। ব্যাপক তদন্ত শেষে স্বামী সোহানুর রহমান সোহানসহ ৮ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট প্রদান করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।
এজেড এন বিডি ২৪/ রেজা
Leave a Reply