বৃহস্পতিবার, ১৮ অগাস্ট ২০২২, ০১:৪২ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্কঃ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) মহান বিজয় দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে কুচকাওয়াজ, শহীদ বেদিতে পুস্পস্তবক অর্পণ, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছে বাকৃবি জাতীয় দিবস উদযাপন কমিটি। এছাড়াও বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকেও নানান কর্মসূচি পালন করা হয়।
দিনের শুরুতে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর সকাল সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়ামে শিশু কিশোরদের অংশগ্রহণে কুচকাওয়াজ ও শারীরিক কসরত প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বাকৃবি চত্বরে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধে ও স্মৃতিস্তম্ভ ‘মরণসাগরে’ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন ভিসি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।
এরপর শহীদদের স্মরণে দোয়া ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, বিভিন্নশিক্ষক ও ছাত্রসংগঠন, কর্মকর্তা, কর্মচারীপরিষদ এবং সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এছাড়া বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার বর্গেও সংবর্ধনা এবং পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিনভয়েসের আয়োজনে সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিতহয়। দুপুরে বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হয়।
এদিন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) ছাত্রবিষয়ক কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত ২৫ জন মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবার বর্গকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান। তিনি বলেন, সবার স্বাধীনতাকামী চেতনার জন্যই আমরা আজকে স্বাধীন দেশ পেয়েছি। আমরা যেভাবে স্বাধীনতার জন্য লড়েছি, পৃথিবীর খুব জাতিই আছে যারা আমাদের এত দৃঢ় মনোবোল নিয়ে লড়েছে। ১৯৭১ সালে আমাদের সবার উদ্দেশ্য ছিল কেবলি দেশের স্বাধীনতা অর্জন। আর এ কাজটিকে সহজ করে দিয়েছে আমাদের দেশের মুক্তিযোদ্ধারা। তাদের আন্তত্যাগের কারণেই ৯ মাসেই আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, মুক্তিযোদ্ধারাই আমাদের দেশ। তাদের যথাযথ সম্মান দিতে হবে। আর বর্তমান সরকার সে কাজটিই করছেন। ১৯৭১ সালে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে মুক্তিযুদ্ধে। তাদের অবদানের জন্যই আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ পেয়েছি। বাকৃবি পরিবার তথা দেশ তাদের এ অবদানের জন্য গর্বিত। তাদের জন্য দ্রুত বাকৃবি ক্যাম্পাসে অত্যাধুনিক মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্সে করারও আশ্বাস দেন তিনি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো. জয়নাল আবেদীন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. এ কে এম জাকির হোসেন।
এজেড এন বিডি ২৪/হাসান
Leave a Reply