শনিবার, ২১ মে ২০২২, ০১:১১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ মাসের প্রথম হওয়া চাকুরিজীবীদের পকেট ভারি হওয়া নগরীর মার্কেটগুলোতে ক্রেতা সাধারনের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।চাকরিজীবী, ব্যবসায়ীসহ সব বয়সী ও পেশার মানুষকে পরিবার-পরিজন নিয়ে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাতে দেখা গেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর মার্কেটগুলোতে বইছে ঈদের আমেজ।ক্রেতাদের ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে নগরীর মার্কেটগুলো। নগরীর সাহেব বাজার, আরডিএ মার্কেট, হকার্স মার্কেট, গাউসিয়া মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমলগুলো ঘুরে দেখা গেছে এই দৃশ্য।
নগরীর রেডিমেট পোশাকের দোকানগুলোতে ভিড় বেশি লক্ষ্য করা গেছে। বেশিরভাগ ক্রেতাই তাদের পছন্দের থ্রি-পিচ, জামা, শাড়ি, পাঞ্জাবি ইত্যাদি কিনছেন। আরডিএ মার্কেটে ঈদের কেনাকাটা করতে আসা নুসরাত সারমিন জানান, রোজার শেষের দিকে ভিড় আরো বেড়ে যায়। সেই সাথে দামও অনেকটা চড়া থাকে। তাই আগেভাগেই নিজের ও পরিবারের সদস্যদের পোশাক কিনতে এসেছেন বলে জানান তিনি।
সাহেব বাজারের কাপড়ের দোকানে কথা হয় ব্যাংকার আব্দুস সামাদ সাথে। তিনি বলেন, ‘ঈদের ছুটি পাবো ঈদের মাত্র দু’একদিন আগে। এর মাঝে আবার গ্রামের বাড়ি যাবার তাড়া থাকে। সেই এই অল্প সময়ে ঈদের কেনাকাটা করা যায় না। সেজন্য আজ ছুটির দিনে পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা সেরে নিচ্ছি’।ভিড় এড়াতে রমজানের শুরুতেই বিপণীবিতানগুলোতে কেনাকাটা করছেন অনেক ক্রেতা। তবে পুরোদমে বেচাকেনা শুরু হতে এখনও দু’সপ্তাহ সময় লাগবে বলে মনে করেন বিক্রেতারা। ক্রেতাদের অভিযোগ, পোশাকের দাম বেশি। তবে বিক্রেতারা পোশাকের দাম বাড়ার নানা কারণ তুলে ধরেছেন।
রাজশাহী নগরীর বিভিন্ন বিপণী বিতান গুলোতে বাড়ছে ক্রেতাদের আনাগোনা। আরডিএ ও নিউ মার্কেটে ঈদে সব বয়সী ক্রেতাদের মাথায় রেখে বাহারি রং আর নানা ডিজাইনের বৈচিত্র্য ছেয়ে গেছে পোশাকে।ক্রেতারা বলছেন, সপ্তাহ দুয়েক পর ভিড় হবে, তাই দামদর করে আগেভাগে ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলছেন তারা। আধুনিকতার ছোঁয়া আর গুণে মানে ভাল হওয়ায় প্রতি বছরের মতো এবারও নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে সুতি ও সিল্কের তৈরি শাড়ি, থ্রি-পিস, ফ্রগ আর ছেলেদের পছন্দ শার্ট, প্যান্ট ও বাহারি রঙয়ের পাঞ্জাবি।তবে রমজানের প্রথমদিকে রেডিমেডের চেয়ে পিস কাপড়ের দোকানগুলোতে বেশি ভিড়। এখান থেকে ক্রেতারা পছন্দমত কাপড় কিনে বানিয়ে নিচ্ছেন ঈদে মানানসই শখের পোশাকটি।
অবশ্য পোশাকের দাম বাড়ায় কিছুটা অসন্তুষ্ট অনেক ক্রেতা। তবে দাম বাড়ার নানা যুক্তি বিক্রেতাদের।বিপণী বিতানগুলোর মালিকরা, ঈদকে টার্গেট করে আকর্ষণীয় ও লোভনীয় ছাড় দিয়ে ক্রেতাদেরকে আকৃষ্ট করছেন
Leave a Reply